গত গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরুর পর আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে যুবলীগ। ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম সহযোগী সংগঠনটির কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে একে একে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কংগ্রেস (সম্মেলন)। বর্তমান প্রেক্ষাপটে কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসছে যাচ্ছে ব্যাপক পরিবর্তন।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যুবলীগের কিছু নেতার কারণে সংগঠনের যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনতে নেতৃত্বের ব্যাপক পরিবর্তন আনা হবে। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির তরুণ নেতাদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। এ কারণেই যুবলীগ করার বয়ষসীমা ৫৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আনার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। ফলে, শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সদস্য পর্যন্ত অনেকেই বাদ পড়বেন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এমন নেতাদের পাশাপাশি সংগঠনের বাইরে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদেরও যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের পদে আনা হতে পারে। ইতোমধ্যেই এই শীর্ষ দুই পদে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় রয়েছে।
নতুন কমিটিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান পদে যাদের নাম আলোচনায় আসছে তাদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজুলল হক মণির বড় ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নন। তবে, পরিচ্ছন্ন ইমেজের নেতৃত্বের জন্য তাকে এই পদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তার ছোট ভাই ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপসের নামও আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া, চেয়ারম্যান পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসাইন, ফারুক হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহির নাম শীর্ষে রয়েছে। অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পালও আলোচনায় রয়েছেন। এছাড়া যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের নামও আলোচনায় রয়েছে। এছাড়া, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারির নাম জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বাংলানিউজকে বলেন, সংগঠনের নেতৃত্ব নির্বাচনের সব দায়িত্ব আমাদের যুবলীগের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি যাদের যোগ্য মনে করবেন, তাদেরই যুবলীগের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেবেন। সেই নেতাদের নেতৃত্বেই যুবলীগ তার অতীত ঐতিহ্যকে ধারণ করে নতুনভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হবে।
এ বিষয়ে তাজউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থেকে যারা রাজনীতি করে আসছে তারাই সংগঠনের নেতৃত্বে আসবেন, এটাই প্রত্যাশা। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাদের দায়িত্ব দেবেন তাদের সঙ্গে আমরা সংগঠনকে এগিয়ে নেবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসকে/একে