শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলেন তারেক রহমান বিদেশে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে রাজনীতিতে এসেছেন।
তিনি বলেন, সরকার আগে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পেটাতো। এখন পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে পেটাতে শুরু করেছে। দাম এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে৷ এই সরকার এখনই চলে গেলে আমরা বেঁচে যাই। গোটা দেশের মানুষ মুক্ত হয়ে যায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটি নাটক দেখেছিলাম মুনতাসির ফ্যান্টাসি। সেই নাটকের প্রধান যে চরিত্র সে সবকিছু খেয়ে ফেলে। তার এত খিদে যে চেয়ারটেবিল, কাগজপত্র সব খেয়ে ফেলে। বর্তমান সরকারেরও একই অবস্থা। তারাও সবকিছু খেয়ে ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, অনেকে এই সরকারকে স্বৈরাচারী সরকার বলে। কিন্তু এরাতো স্বৈরাচার নয়, স্বৈরাচারের বাবা-ফ্যাসিবাদ। স্বৈরাচারেরও একটা মিনিমাম অবস্থা থাকে। স্বৈরাচার এরশাদ আইয়ুব খানের সময়ও এমন অবস্থা ছিল না।
‘আমরা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছি। আমরা দলমত সবাইকে নিয়ে এমন একটা গণআন্দোলনের সৃষ্টি করবো যার মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এটা আমাদের বিশ্বাস। আমরা জানি এটা হবে। কারণ এদেশের ইতিহাসে এ ধরনের স্বৈরাচার কখনো টিকে থাকতে পারেনি। ’
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, শওকত মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দল মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এমএইচ/এফএম