শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে মাওলানা ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘মাওলানা ভাসানী ও আমাদের সময়ের রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, পরিচালনা করেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।
আলোচনায় অংশ নেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, লেখক ও বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
আলোচনায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাজনীতিতে গান্ধীর ধারা ছিল অহিংসনীতি, মাওলানা ভাসানীর রাজনীতি ছিল বলপ্রয়োগের। তাকে টাইম পত্রিকা ‘প্রোফেট অব ভায়োলেন্স’ আখ্যা দিয়েছিল উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময়। কিন্তু, তিনি যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন, তা কাউকে পুড়িয়ে মারার নয়, মানুষের মুক্তির জন্য সে আলো জ্বেলেছিলেন। তিনিই একমাত্র নেতা ছিলেন যিনি ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে রাজবন্দিদের মুক্ত করে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ কোনো একক ব্যক্তি বা দলের অবদান নয়। মুক্তিযুদ্ধে যাদের অবদান উল্লেখযোগ্য নিঃসন্দেহ মাওলানা ভাসানী ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। ভোটের রাজনীতি ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি নয়, ভাত-কাপড়ের রাজনীতি করেই মাওলানা ভাসানী মানুষকে সংগঠিত করেছিলেন। জনগণের শক্তি ও আস্থার ওপর ভিত্তি করে তিনি আপসহীনভাবে লড়াই চালিয়ে গেছেন। মানুষের মুক্তির জন্য মাওলানা ভাসানীর আদর্শ ও রাজনীতি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
সমাবেশের অন্য বক্তারাও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর আদর্শ এবং আপসহীন নেতৃত্বের কথা উল্লেখসহ তার জীবনের বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক ঘটনা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
আরকেআর/একে