শনিবার বেলা ১১টায় যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কংগ্রেসের উদ্বোধন করবেন ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়, তাতে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের বেশ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হন। ক্যাসিনোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা, দুর্নীতি ও অপকর্মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত অনেকেই আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে ইতোমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কৃতও হয়েছেন। খোদ যুবলীগ চেয়ারম্যানকেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার বিরুদ্ধে অপকর্মের অভিযোগ ওঠায় যুবলীগ এই মুহূর্তে প্রচণ্ড ভাবমূর্তি সংকটে রয়েছে।
সংগঠনের এই হারানো ইমেজ ফিরিয়ে আনার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবারের কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। কংগ্রেসের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ও দক্ষ সংগঠকদের নেতৃত্বে এনে হারানো ইমেজ ফেরানো সম্ভব বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সবশেষ ২০১২ সালের ১৪ জুলাই যুবলীগের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর কংগ্রেস হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত বছর পর সপ্তম কংগ্রেস হতে যাচ্ছে। কংগ্রেসকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকা চমৎকারভাবে সাজানো হয়েছে। কংগ্রেসের মূল মঞ্চ নির্মিত হয়েছে পদ্মাসেতুর আদলে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারাদেশের ৭৭টি সাংগঠনিক জেলা ও আটটি সাংগঠনিক জেলার মর্যাদাসম্পন্ন বৈদেশিক শাখার প্রায় তিন হাজার কাউন্সিলর, ২৫ হাজার ডেলিগেটস ও আট হাজার অতিথি মিলিয়ে অন্তত ৩৬ হাজার মানুষ কংগ্রেসে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসকে/একে