ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ

‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক খারাপের জন্য বিএনপি দায়ী’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক খারাপের জন্য বিএনপি দায়ী’

ঢাকা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খারাপের জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলও গণতন্ত্রের বিকাশে অপরিহার্য শক্তি। বিরোধী দলকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

আওয়ামী লীগের ওপর বিভিন্ন সময়ে আঘাত আসার পরও রাজনৈতিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে বারবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু বিএনপির অসহযোগিতার কারণে সেই সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে।

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ অভিযোগ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সামাজিক অনুষ্ঠান, কারো মৃত্যুর পর জানাজায় যাবো কিনা এটা নিয়ে দ্বিধা কাজ করে। কারণ কে কি মনে করে এটা মাথায় কাজ করে। এ বিষয়গুলো রাজনীতির জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বিরোধী দলকেও শক্তিশালী করতে হবে। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া শক্তিশালী গণতন্ত্র কল্পনাও করা যায় না। এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। যা আমরা বিশ্বাস করি তা পালন করি না। এটাও বাংলাদেশের রাজনীতির আরেক বাস্তবতা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ একটা অলঙ্ঘনীয় দেয়াল উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই দেয়াল আমাদের কর্ম সম্পর্কের পথে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দেয়ালের সৃষ্টি  হয়েছে ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিলো ইতিহাস থেকে তাদের সেই ভূমিকাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস লেখার উপায় নেই। সেদিন কারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলো, নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলো। বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলো। কারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিলো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২১ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। কারা তখন ক্ষমতায়, কারা প্লানার, কারা মাস্টারমাইন্ড, সবাই তা জানে। তারপরও এই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল কীভাবে ভাঙবো। আমাদের চেষ্টার কমতি ছিলো না। এতোকিছুর পরও খালেদা জিয়ার সন্তানের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন, কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। ২০১৪ সালের আগে শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে। তিনি ঘৃণাভরে গালাগাল করে যে ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন আপনার কি তা শোনেননি?

এ সময় ওবায়দুল কাদের ১৪ দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাতাসে ষড়যন্ত্রের গন্ধ আছে। রক্তের গন্ধ আছে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।

জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এসকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।