মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত ‘পাট ও পাটশিল্পঃ সঙ্কট, সম্ভাবনা ও উত্তরণের পথ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
সন্ধ্যায় ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়।
রাশেদ খান মেনন বলেন, পাটশিল্প ও পাটখাতে এখনও বিএনপি-জামায়াতের ধারাই অনুসৃত হচ্ছে। বাস্তবায়িত হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের নির্দেশনায়। উপেক্ষিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। পাট দিয়েই বাংলাদেশকে পরিবেশগতভাবেও আরো এগিয়ে নেওয়া যায়।
আলোচনায় শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন নতুন নয়। যুগে যুগে নানা সংগ্রামে এ শ্রমিকরাই ন্যায্য অধিকারের দাবিতে রক্ত দিয়েছে। সরকার যদি বিদ্যমান রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোকে বেসরকারিকরণের অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা আবারো তা রক্ত দিয়ে প্রতিহত করবো।
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু বলেন, আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য হচ্ছে পাট। এ শিল্পকে বাঁচানোর জন্য আমরা সরকারকে নানাভাবে বার্তা দিচ্ছি। ইতোমধ্যে সরকার ছয়টি সেক্টরে মজুরি কমিশন বাস্তবায়িত করেছে। আশা করছি পাটশিল্পেও মজুরি কমিশন বাস্তবায়িত হবে। পাটশিল্পের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই।
জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরূল আহসান পাটখাতের সংকট, সম্ভাবনা ও উত্তরণের পথ বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আমিরুল আমিন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) সভাপতি পাটকল আন্দোলনের অন্যতম নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ০১২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
আরকেআর/ডিএন/আরবি/