বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে তেজগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকে রিজভীর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হলে আওয়ামী লীগের একদল কর্মী এলোপাতাড়ি লাঠিসোটা নিয়ে এ হামলা চালায়। এসময় তারা কিলঘুষি মারতে থাকলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়।
হামলায় গুরুতর আহত রিজভী পায়ে ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান। তার পা ও হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। পরে আহতাবস্থা তাকে দ্রুত কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
আহতাবস্থায় রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় ধানের শীষের পক্ষে ভোট এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি চেয়ে কর্মীদের নিয়ে মিছিল করছিলাম। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলার মুখে রাস্তায় পড়ে যাই। পায়ে ও হাতে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি। পরে কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না। ’
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ইকবাল হাসান চৌধুরীর তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, প্রান্তিক জনশক্তি উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ নেতারা ছুটে যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘রিজভীর নেতৃত্বে একটি মিছিল নেতাকর্মীসহ ধানের শীষে ভোট ও খালেদা জিয়ার মুক্তির স্লোগান দিয়ে এগুচ্ছিল। ঠিক ওই সময়ে আওয়ামী লীগের একটি মিছিল থেকে এ হামলা হয়। ’
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের পুলিশের সহকারী কমিশনার এস এম মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ দুইপক্ষের মিছিল গেছে। কোনো সমস্যা হয়নি বা কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এ হামলা প্রমাণ করে যে, সরকার নির্লজ্জভাবে নির্বাচনকে একদলীয় করার সব আয়োজন করে ফেলেছে। প্রচারণার শেষ দিনে বিএনপির মিছিলের ওপর হামলা ন্যাক্কারজনক। আমি এ হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এমএইচ/আরবি/