নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একটি সূত্র বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
জানা গেছে, ওই চিঠিতে প্যারোলের বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে কিছু লেখা হয়নি। তবে অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য সাময়িকভাবে মুক্তি চাওয়া হয়েছে। এতে খালেদা জিয়ারও সম্মতি রয়েছে।
এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের কিছু জানানো হয়নি। আর খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সাংবাদিকদের সঙ্গে কখনও কথা বলেন না।
শনিবার (০৭ মার্চ) বিকেলে পরিবারের পাঁচ সদস্য খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বোন সেলিমা ইসলাম। তিনি মানবিক কারণে বোনের (খালেদা) মুক্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, খালেদা জিয়াকে আমরা জীবিত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে বাসায় নিতে পারবো কি না সন্দিহান।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হলে সে আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ফলে আদালতের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি সঙ্কুচিত হয়ে গেছে। জানা গেছে, সরকারের কাছে মুক্তির জন্য যে আবেদন করা হয়েছে সেটাতে খালেদা জিয়া নিজেও সম্মতি দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালেদা জিয়ার একজন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রোববার (৮ মার্চ) সকালে বাংলানিউজকে বলেন, শামীম ইস্কান্দার নিজেই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে চিঠিটি দিয়ে এসেছেন। চিঠিতে কি লেখা হয়েছে সেটা আমি জানি না।
সূত্র আরও জানায়, পরিবারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইতিবাচক মনোভাব দেখালে খালেদা জিয়া শেষ মুহূর্তে প্যারোলের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ব্যাপারে তার সম্মতি নিতে পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছে।
জানতে চাইলে, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বলেন, এই চিঠির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
এমএইচ/এসএইচ