সোমবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অনেকে বলছে, তিনমাস সময় পেলেও ব্যবস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় করেনি এবং তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
‘সরকারের একমাত্র মনোযোগ অভিন্ন শত্রু করোনা এবং সরকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধে সামিল হতে গোটা জাতিকে আহ্বান জানাই। আমি একটা কথা বলছি- যখন যে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেই ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে শেখ হাসিনা সরকার প্রস্তুত আছে। ’
পড়ুন>> ২৬ মার্চ আ’লীগের সব অনুষ্ঠান বাতিল
যেখানে চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জমাদি-পিপিই নেই, সেখানে সরকারের প্রতি আস্থা কীভাবে রাখবেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী বলেন, নেই এ কথাটা ঠিক নয়। কিছু ঘাটতি আছে। এটা সংগ্রহ করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব কিছুর জন্য সরকারের প্রস্তুতি আছে। ডাক্তারদেরও প্রস্তুতি নেওয়া আছে। করোনা যুদ্ধে মোকাবেলায় তাদের দায়িত্ব পালন করবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম জোগাড়ে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশে যা নেই তা বিদেশ থেকে আনার চেষ্টা চলছে।
‘এই যুদ্ধের মুখোমুখি কিংবা এ যুদ্ধ মোকাবেলার প্রস্তুতি কারোই ছিল না, পৃথিবীর কোন দেশরই ছিল না, আমাদেরও ছিল না। এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখানে সৃষ্টি হয়নি। অহেতুক আতঙ্কিত হবে এমন অপপ্রচার থেকে, গুজব সৃষ্টি থেকে বিশেষ করে ফেসবুকে অপপ্রচার চলছে এসব থেকে বিরত থাকতে হবে। সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই। ’
আক্রান্তদের সবাই পরীক্ষা করতে পারছে না- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, এখানে প্রাথমিকভাবে কিছু দুর্বলতা ছিল সেগুলো কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে এবং টেস্টের ক্যাপাসিটি বাড়ানোর জন্য সরকার জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যারা বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন তারা যেন সত্যটা স্বীকার করেন। এটা করলে আমরা ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করবো।
চীনের অভিজ্ঞতা দেখার পরও কেন লকডাউন করা হল না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, উম্মুক্ত করে রাখা হয়নি। যেখানে প্রয়োজন হচ্ছে সেখানে লকডাউন করা হচ্ছে।
ছোট ছোট এলাকা লকডাউন করা হচ্ছে, একই সঙ্গে লকডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব কিছুই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
জিসিজি/এমএ