ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২০
জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার

ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার (৩০ মে)। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও বিএনপিন্থি সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো অনলাইন আলোচনা সভা এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাবার ও কাপড় বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মতের অনুসারীদের এক মঞ্চে নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।

জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

এদিকে, করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (২৭ মে) ভার্চুয়াল আলোচনা সভাসহ ১২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচিগুলো ৩০ মে থেকে শুরু হয়ে ১০ জুন শেষ হবে। সবই কর্মসূচিই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পালন করা হবে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৩০ মে) সকালে ৬টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় ঢাকায় শেরে বাংলানগরে জিয়াউর রহমানের কবরে শুধু জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পুষ্পমাল্য অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের প্রতিষ্ঠাতার স্মরণে আলোচনা সভা হবে। এছাড়া ১ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের কর্মকাণ্ডের ওপরে বিষয়ভিত্তিক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে।

দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এবং উত্তরের আয়োজনে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। দলীয় নেতাকর্মীরা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে জনসমাগম ছাড়াই এসব সামগ্রী বিতরণ করবেন।

প্রতিষ্ঠাতার ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। জিয়াউর রহমানের প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ ও তার অবিনাশী আদর্শ এদেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রকে সুরক্ষার এবং উৎপাদন ও অগ্রগতি তরান্বিত করার।

মির্জা ফখরুল বলেন, জাতির ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়। তিনি সব সঙ্কটে সংকটে দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান নেন। মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক ঘোষণা, স্বাধীনতা যুদ্ধের ময়দানে বীরোচিত ভূমিকা এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে তার অনবদ্য অবদানের কথা আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা কখনেই মেনে নিতে পারেনি। এ চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। এ মর্মান্তিক ঘটনার মধ্যদিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে হারান দেশবাসী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে একদলীয় সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের নির্মমতা চারিদিকে বিদ্যমান। বিরোধীদলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে বর্তমান সরকার। সেজন্য গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। এখন তাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তার মিথ্যা মামলা ও সাজা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।