তিনি এ সংকটে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে গণপরিবহন পরিচালনার জন্য আবারও অনুরোধ জানান।
মন্ত্রী মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে সংসদভবন এলাকার বাসভবন থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন-বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ আহ্বান জানান।
করোনার সংক্রমণরোধে সবাইকে দৃঢ় মনোবল নিয়ে নিজ নিজ গৃহ এবং কর্মস্থলে সচেতনতার প্রাচীর নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সোমবার থেকে শর্তসাপেক্ষে সারাদেশে গণপরিবহন চলছে। প্রথমদিনে অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
যাত্রী সাধারণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সচেতনতা বোধ ও সামাজিক দূরত্ব যথাযথ প্রতিপালনের মধ্য দিয়ে আমরা এ সংক্রমণ রোধ করতে পারি। নিজেদের অবহেলা ও শৈথিল্য দুর্যোগ আরো ঘণীভূত করতে পারে।
ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বিআরটিসির বাসগুলোকে সংক্রমণ রোধ এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার মডেল হিসেবে রূপান্তরের পাশাপাশি জনগণের আস্থার বাহনে রূপদান করতে হবে।
মন্ত্রী এসময় অনিয়ম ও দুর্নীতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে বিআরটিসির বাসে ট্র্যাকিং ডিভাইস স্থাপন ও ডিজিটাল টিকিটিং চালুর উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এসময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এমআইএইচ/এএ