মঙ্গলবার (০২ জুন) দুপুরে তেরখাদা উপজেলার আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে ১৯ মে বিকেলে চাল আত্মসাতের ঘটনায় তিনি এনএসআইয়ের হাতে আটক হয়েছিলেন।
অভিযুক্ত সারাফাত হোসেন তেরখাদা উপজেলার আজগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই এলাকার ১০ টাকা মূল্যে বিতরণ করা সরকারি চালের ডিলার ছিলেন।
জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ছয় ব্যক্তির চাল ডিলার সারাফাত দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাৎ করেছেন। চাল না পাওয়া ওই ছয় ব্যক্তি হলেন- উপজেলার বলরামপুর গ্রামের সৈয়দ সাহজাহান, সৈয়দ ফুরবান আলী, অনুপ কুমার মণ্ডল, অনাদী বিশ্বাস, মো. মিতুন আলী ও বিমন সমদ্দার।
তারা জানান, তারা জানেন না তাদের নামে ওএমএস কার্ড আছে। তারা শুনছেন তাদের নামে কার্ড করে ডিলার সারাফাত চাল আত্মসাৎ করছেন।
তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সারাফাত হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণের বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম ও চাল আত্মসাতের অপরাধে জেল হাজতে থাকায় দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছেন। যে কারণে তাকে আজগড়া ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বসহ দলের সব দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া ও দলের সব পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল বাংলানিউজকে বলেন, চাল আত্মসাতের ঘটনায় সারাফাত হোসেন বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ডিলারশিপ বাতিলের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২০
এরআরএম/আরআইএস/