তিনি বলেন, আমাদের দেশেও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার কারণে সবকিছু বন্ধের সময় প্রায় সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল, যাদের সরকার নানাভাবে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে। বিএনপি চায় এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো অসুবিধায় থাক এবং সে কারণেই তারা সারাদেশে লকডাউন প্রলম্বিত করার কথা বলে।
বুধবার (১০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বিএনপি ক্রমাগতভাবে বলে আসছে লকডাউন তোলা ভুল হয়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি’কে পৃথিবীর দিকে তাকাতে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেন, বেলজিয়ামসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ, আমেরিকার নিউইয়র্কেও যেখানে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছিল না এবং যেখানে এখনও প্রতিদিন মৃত্যু ঘটছে, সেসব স্থানেও কিছুদিন আগেই লকডাউন তুলে দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল করা হয়েছে।
‘তারা উন্নত অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও মাসের পর মাস লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আর ভারত, পাকিস্তানের মতো উন্নয়নশীল দেশ তো বিভিন্ন কাজকর্ম ও যোগাযোগ খুলে দিয়েছেই। ’
ড. হাছান বলেন, বিএনপি খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই এটা বলতে পারে, অন্যথায় কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল একথা বলতে পারে না। অন্য দেশের মতো আমাদেরও অর্থনীতির চাকাও সচল রাখতে হবে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষা ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন বছরের বাজেট চেয়েছেন- এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে ড. হাছান বলেন, ‘বাজেট এক বছরের জন্যই প্রণয়ন করা হয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই তাই। সমগ্র পৃথিবীর ক্যানভাসের দিকে না তাকিয়ে একসময়ে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করা ফখরুল সাহেবের তিন বছরের বাজেট দেওয়ার কথা বলা অবাক হওয়ার মতো। বরং তিনি যদি তিন বছরের একটি পরিকল্পনার কথা বলতেন, তাহলে যথার্থ হতো।
আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে এসময় মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে বিরাট ঝাঁকুনি পড়েছে এবং এর ফলে যে সম্ভাব্য মন্দার আশংকা রয়েছে, সরকার সেটি বিবেচনায় নিয়েই বাজেট প্রণয়ন করেছে। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর জন্য এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া গত একনেক সভায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আরো দু’’টি প্রকল্প পাস করা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভবিষ্যতে আরো প্রকল্প নেওয়া হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২০
জিসিজি/এএ