বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেল তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত তিনি বাজেট উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রীর পেশ করা বাজেট নিয়ে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবে না বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার দলীয়ভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হবে না। তবে ব্যক্তিগতভাবে দলের কোনো নেতা যদি জানান সেটা ভিন্ন বিষয়।
শায়রুল বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার বিকেল ৪টায় উত্তরার নিজ বাসা থেকে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাজেট সম্পর্কে দলের প্রতিক্রিয়া জানাবেন। ওই সংবাদ সম্মেলন জুম অ্যাপের মাধ্যমে প্রচার হবে। একইসঙ্গে বিএনপির ফেসবুক পেজেও লাইভ হবে।
এর আগে ৯ জুন ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের পক্ষ থেকে বাজেট ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, করোনা সঙ্কটে মানুষের সার্বজনীন মৌলিক প্রয়োজন খাদ্য, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, বাসস্থান ইত্যাদি দেওয়ায় সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়েছে। পুনরুদ্ধার প্যাকেজ ও মুদ্রানীতি সহজ করাসহ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ‘সামাজিক নিরাপত্তা জাল’ নামে কিছু কর্মসূচি থাকলেও তা নিতান্তই অপ্রতুল। তাছাড়া ওপরে উল্লেখিত কর্মসূচিটিও দুর্নীতিগ্রস্ত। ’
জনসেবা খাতে বরাদ্দ দিন দিন কমেছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কৃষি, শিল্প ও সেবাখাতের দুর্বলতাও করোনাকালে উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে ভোগ, চাহিদা, সরকারি ব্যয়, আমদানি-রফতানির সূচক দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে। এর ফলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে যেতে বাধ্য। কর্মহীন মানুষের আয় না থাকায় কেনাকাটা কমে গেছে। সঞ্চয় হ্রাস পাচ্ছে, ফলে বিনিয়োগও কমে যাবে। করোনার কারণে মার্চ মাসে প্রবাসী আয় ১২ শতাংশ কমেছে। দেশের ভেতরে ও বাইরে এভাবে আয় কমে যাওয়ায় ভোগ-ব্যয়ও অনেক কমে যাবে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে এর প্রভাব প্রকটভাবে দেখা দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/