বৃহস্পতিবার (১১ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, বাজেটে স্বাস্থ্য, কৃষি, শিল্প ও কর্মসংস্থানকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাঠামোগত পরিবর্তন আনা হলেও, অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবনা এখনও প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীক।
তিনি বলেন, উন্নয়ন ছয়মাস এক বছরের জন্য নেমে থাকতে পারে, কিন্তু জীবন এক লহমার জন্য থেমে থাকতে পারে না। প্রবৃদ্ধিকে মানুষের জীবনের ঊর্ধ্বে স্থান দেওয়া সঠিক নয়। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়লেও এর ৩৫ শতাংশ চলে যায় সরকারি কর্মচারীদের পেনশনে। চলতি বছরে বাজেটে ব্যাংকিংখাত সংস্কার, সার্বজনীন পেনশন স্কিমের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল এবারের বাজেটে তা অনুপস্থিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ যেখানে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা হবে তখন এ ভঙ্গুর ব্যাংকিংখাত টিকিয়ে রেখে সেটা কীভাবে সম্ভব।
মেনন স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও এটাকে নিতান্তই অপ্রতুল ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের জিডিপির অংশ হিসেবে সর্বনিম্ন বলে অবিহিত করে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকাও অপ্রতুল। যখন করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আরও হাসপাতাল প্রয়োজন সেখানে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বসিয়ে রেখে এবং বেসরকারি খাতের মুনাফার কাছে ছেড়ে দিয়ে সেটা কি করে সম্ভব?
তিনি বলেন, বাজেটে এখনও অপ্রত্যক্ষ করই প্রধান যা সাধারণ মানুষকে আঘাত করে।
সম্পদ ও মুনাফার ওপরে কর আরোপ না করায় বিষ্ময় প্রকাশ করে মেনন বলেন, এদেশে ধনীদের আর কত ছাড় দেওয়া হবে।
বিবৃতিতে মেনন কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ানো ও যান্ত্রিককরণের ক্ষেত্রে সমবায়ী মালিকানা প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
আরকেআর/আরআইএস/