শুক্রবার (৩ জুলাই) বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশীয় গবেষকদের দ্বারা কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা ও অন্যান্য ওষুধ আবিষ্কারে চিকিৎসাবিজ্ঞানে যে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হয়েছে তা এগিয়ে নেওয়া আমাদের মৌলিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় এসেছে রাষ্ট্রের উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণের।
এরমধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গ্লোব বায়োটিক লিমিটেডের এসব উদ্ভাবন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। ওষুধ আবিষ্কারে অত্যাধুনিক গবেষণা কেন্দ্রও স্থাপিত হয়েছে। আরও প্রতিষ্ঠান দেশে অনুরূপ গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া দেশে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিছু কিছু দুরারোগ্য ব্যাধির ওষুধ উৎপাদনে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে লণ্ডভণ্ড অবস্থার মধ্যেও এসব সংবাদ খুবই আশাবাদের জন্ম দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কোনো অবদান স্বীকৃতি লাভ করলে বিশ্বব্যাপী বাঙালি জাতির মর্যাদা উচ্চতর পর্যায়ে উপনীত হবে। যা হবে যুগান্তকারী ঘটনা। জ্ঞানবিজ্ঞানের উন্নয়নই হবে জাতির আত্মমর্যাদার উন্নয়ন। এর কোনো বিকল্প নেই।
এসব চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণা কাজকে উৎসাহিত করতে সমর্থন জোগাতে সরকার এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের গবেষণা কাজে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা সমর্থন অব্যাহত থাকলে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় ধরনের অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
তাই অবিলম্বে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর প্রয়োজনে আমাদের তিন দফা প্রস্তাব হচ্ছে:
১. চিকিৎসাবিজ্ঞানী, কেমিস্ট, গবেষক, ফার্মাসিস্ট ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশিজনদের নিয়ে 'চিকিৎসাবিজ্ঞান টাস্কফোর্স' গঠন করা।
২. স্বাস্থ্যখাতের মৌলিক ক্ষেত্রে চিকিৎসা গবেষণার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ করা।
৩. স্থায়ী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণার প্রয়োজনে চিকিৎসাবিজ্ঞান একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা।
আশা করছি, দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সরকার সময়ের দাবি বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ নেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২০
এমএইচ/ওএইচ/