ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের হজম শক্তি অনেক বেশি। যে কারণে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তা হত্যাসহ হাজারও ঘটনাকে তারা হজম করতে পেরেছে।
শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘বিএনপি কমিউনিকেশন সেল-বিএনআরসি’র উদ্যোগে ‘ইতিহাস বিকৃতির অপতৎপরতা রুখতে হবে’ শীর্ষক প্রাসঙ্গিক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংলাপ পরিচালনা করেন বিএনপির সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন। এ আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট, ১/১১, ভাষা আন্দোলনসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন বিএনপির এ সিনিয়র নেতা।
গয়েশ্বর রায় বলেন, যারা সত্য ঘটনা আড়াল করতে ইতিহাস বিকৃত করে, তাদের মস্তিষ্কই হচ্ছে বিকৃত। কারণ তারা মনে করে এভাবে ইতিহাস রচনা করা যায়। অথচ ইতিহাস কিন্তু তার নিজস্ব গতিতেই চলে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছেন-এটাই সত্য। তার এ ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার অ্যাড্রেস করেছে। অনুমোদন দিয়েছে।
গয়েশ্বর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত ইতিহাসে সুবিধাভোগী হয়েছিল আওয়ামী লীগই। ওই রক্তাক্ত সিড়ি বেয়ে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরাই পরবর্তীকালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ওই সময়ে জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর তিনি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার কথা বলেছিলেন। তিনি কাউকে সমর্থন জানাননি। তিন বাহিনী প্রধান খন্দকার মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠানে গেলেও জিয়াউর রহমান যাননি। এরপরও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতিতে হেয় করার জন্য ওই ঘটনায় তাকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে। ইতিহাস বিকৃতি করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ইতিহাস বিকৃতির ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জড়ানোর নীলনকশা করেছে। পরে ওই রক্তাক্ত রাজনৈতিক ইতিহাসের হাত ধরেই ১/১১ তরান্বিত হয়। যার সুবিধাভোগীও আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২০
এমএইচ/টিএ