ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ স ম হান্নান শাহের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
আ স ম হান্নান শাহের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী রোববার হান্নান শাহ

ঢাকা: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহকর্মী ও সহযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর)। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের র‌্যাফেলস হার্ট সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আ স ম হান্নান শাহ্ ১৯৪১ সালের ১১ অক্টোবর গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শের রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।

১৯৮১ সালে ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে একদল সেনাবাহিনীর হাতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হবার পর উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে রাঙ্গুনিয়া থেকে প্রেসিডেন্টের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হান্নান শাহ্।

বিএনপিতে যোগদানের শুরুতে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

হান্নান শাহ্ ১৯৯১ সাল ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন (কাপাসিয়া) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হলে তাকে বিএনপির সবোর্চ্চ ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হয়। পরবর্তী বছর অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কাউন্সিলেও তা বহাল থাকে।

এক-এগারোর কঠিন সময়ে খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে হান্নান শাহ্ বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময়ের সেনাসমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার ও দলের সংস্কারপন্থী অংশের ‘কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমের সামনে এসে সাহসী কণ্ঠে কথা বলে দেশ-বিদেশে দলের নেতা-কর্মীদের দৃষ্টি কাড়েন।

হান্নান শাহের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় গ্রামের বাড়ি ঘাগটিয়াতে কোরআনখানি, মিলাদ, দোয়া ও স্মরণসভা এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের পুস্পস্তবক অর্পণসহ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হবে। ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন বলে হান্নান শাহ্ পুত্র শাহ্ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ জানিয়েছেন।

হান্নান শাহের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম হান্নান শাহের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামে আততায়ীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর আ স ম হান্নান শাহ শহীদ জিয়ার মরদেহ চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন।

তিনি বলেন, ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিনের অবৈধ সরকারবিরোধী সংগ্রামের একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠ এবং বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে মরহুম হান্নান শাহের অনেক স্মৃতি আমাদেরকে এখনও বেদনার্ত করে। জাতীয় রাজনীতিতে তার ভূমিকা ও অবদান ইতিহাসে চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এমএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।