ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্ধ পাটকল চালুর দাবি বাম জোটের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্ধ পাটকল চালুর দাবি বাম জোটের বাম গণতান্ত্রিক জোট

ঢাকা: সেপ্টেম্বরের মধ্যে বন্ধ সব রাষ্ট্রীয় পাটকল চালুর আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।  রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে অনুষ্ঠিত পাটমন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিল প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পাট মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে অগ্রসর হলে নূরহোসেন স্কোয়ারে আব্দুল গণি রোডের মুখে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হয়।    

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য আকবর খান প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিতে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন। ঠিক এ সময়েই বাংলাদেশের  রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকল বন্ধ করে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে প্রায় ৫১ হাজার শ্রমিককে বেকার করে দিয়েছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। এই দুর্যোগে সারা দুনিয়ায় যেখানে নানা প্রণোদনা দিয়ে মানুষের জীবিকা রক্ষার চেষ্টা চলছে, সেখানে বাংলাদেশে করোনা মহামারির এই দুর্যোগের মধ্যে সোনালি আঁশের ঐতিহ্যবাহী পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে। সরকার একবার বলছে পাটকলগুলোকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে চালু করা হবে, আবার বলছে লিজ দেওয়া হবে। বাস্তবে জনগণের পাটকল ব্যক্তিমালিকদের কাছে বিক্রি করার পাঁয়তারা করছে সরকার।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের পেছনে সরকারের বড় অজুহাত লোকসান। কিন্তু কেন লোকসান, কাদের কারণে লোকসান, লোকসান বন্ধ করতে কী কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল? সেসব প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই। লোকসানের জন্য দায়ী সরকারের ভুলনীতি, দুর্নীতি এবং লুটপাট। সময়মত পাট কেনার টাকা না দেওয়া, পরবর্তীতে বেশি দামে নিম্নমানের পাট কেনা, ৫০/ ৬০ বছরের পুরনো তাঁত দিয়ে উৎপাদন করা, বিজেএমসির মাথাভারি প্রশাসনের ব্যয় ইত্যাদি হলো লোকসানের প্রধান কারণ।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বন্ধ সব রাষ্ট্রীয় পাটকল সেপ্টেম্বরের মধ্যে চালু ও আধুনিকায়ন করা, শ্রমিকদের সব বকেয়া পরিশোধ, লোকসানের জন্য দায়ী মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসির কর্মকর্তাদের বিচার, সরকারি-বেসরকারি সব পাটকলে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবিতে আগামী ৫ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
আরকেআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।