ঢাকা: শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার জেল খেটেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে তার কন্যা শেখ হাসিনাকেও জেল খাটতে হয়েছে, গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে বেশ কয়েকবার।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের করাচিতে নিয়ে যায়। সে সময় বঙ্গবন্ধুর গোটা পরিবারকে ঢাকায় একটি বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ে গৃহবন্দি অবস্থায় ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই শেখ হাসিনার ঘরে জন্ম নেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
বিজয়ের পর ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্ত হন শেখ হাসিনা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম ঘটনার পর বাবা-মা সব হারিয়ে ৬ বছর বিদেশের মাটিতে নির্বাসিত জীবন কাটান শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার একই বছর ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করেন তিনি। আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার বন্দি হন।
১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে।
১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বর মাসে তাকে দু’বার গৃহবন্দি করা হয়।
১৯৮৫ সালের ২ মার্চ শেখ হাসিনাকে আটক করে প্রায় তিন মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়।
১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ দিন গৃহবন্দি করে রাখা হয় শেখ হাসিনাকে।
১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে এক মাস অন্তরীণ রাখা হয়।
১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা গ্রেফতার হয়ে গৃহবন্দি হন।
১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর শেখ হাসিনাকে বঙ্গবন্ধু ভবনে অন্তরীণ করা হয়।
সবশেষ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে গ্রেফতার করে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে বন্দি করে রাখে। প্রায় ১ বছর পর ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তিলাভ করেন শেখ হাসিনা।
আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় সাতদিন কারাভোগ করেন শেখ মুজিব। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিন জাতির পিতা কারাভোগ করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে।
তথ্যসূত্র: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমইউএম/এএ