ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বিএনপির মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
বিএনপির মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা: ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মূল লক্ষ্যই হলো খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা, গণতন্ত্রকে মুক্ত করা বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রামু ট্র্যাজেডির আট বছরপূর্তি উপলক্ষে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের উদ্যোগে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

 

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধদের শুভ মধুপূর্ণিমার আগের রাতে রামু-উখিয়া-পটিয়াবাসী বৌদ্ধদের ওপর এ জঘন্যতম হামলা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ আমাদের একটাই লক্ষ্য হওয়া উচিত, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যিনি গণতন্ত্রের পতাকা তার সমস্ত রাজনৈতিক জীবনে তুলে ধরেছেন, সেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।  

‘আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দূর করতে হবে। যারা কারাগারে আছেন তাদের বের করতে হবে। একটা মুক্ত স্বদেশ, মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। আসুন আমরা সবাই দলমত-বর্ণ নির্বিশেষে সেই লক্ষ্যে কাজ করি। ’

ফখরুল বলেন, রামুর ঘটনা আমার কাছে মনে হয় বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়। এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতিরই প্রতিফলন। বাংলাদেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই, সংবিধান নেই। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বি হোক, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বি হোক, ইসলাম ধর্মাবলম্বি হোক- কারো কোনো অধিকার এখানে নেই। এক কথায় এখন এটা পুরোপুরিভাবে গণতন্ত্রবিহীন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সারাবিশ্বে আজকে যারা ক্ষমতাশালী, যারা পরাক্রমশালী তারা নিজেদের সম্পদ টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। তারা রাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, তারা রাজ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে। ঠিক একইভাবে আজ বাংলাদেশেও একটা শক্তি, যে শক্তি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে মূল চেতনা ছিলে সেই চেতনাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
 
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বর্তমানে গণতন্ত্র শব্দটা সংবিধান থেকে প্রত্যাহার হয়ে গেছে। মানুষ বলে মানুষের মন ভাঙা আর মন্দির ভাঙা নাকি এক সমান। তাহলে শিশু বা নারীর ইজ্জতহানি করা একটি মসজিদ ও মন্দির ভাঙার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ পাপ বা অন্যায়।  

সংগঠনের আহ্বায়ক গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও অপলেন্দু দাস অপুর সঞ্চালনায় এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, দীপেন দেওয়ান, অর্পনা রায় দাশ, দেবাশীষ রায় মধু, সুশীল বড়ুয়া, নিপুণ রায় চৌধুরী, তরুণ দে, মিল্টন বৈদ্য প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।