ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

৯ মাসে ১ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার: নজরুল ইসলাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
৯ মাসে ১ হাজার নারী ধর্ষণের শিকার: নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখছেন নজরুল ইসলাম খান

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আইন ও শালিস কেন্দ্র বলছে ৯ মাসে প্রায় এক হাজার নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। নিজের মা-বোনদের ধর্ষণ থেকে রক্ষা করতে পারেন না।

রাষ্ট্রের সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারেন না। শেয়ার বাজার লুট হয়ে যায়, সুইস ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক লুট হয়ে যায়, বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত লুট হয়ে যায়, নারী-শিশু লাঞ্ছিত হয়, রাস্তাঘাটে মানুষের লাশ পড়ে থাকে। আর আপনারা মনে করেন, আপনারা ভালো আছেন। ’

শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক নাটক প্রচারের প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়া-খালেদার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে লাভ হবে না মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের বড় বড় নেতারা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর নানা অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। তাতে কোনো লাভ হয়নি, জনগণ তাদের কথা বিশ্বাস করেনি। জনগণ এখনো জিয়া, খালেদা, তারেক রহমানকে ভালোবাসে। যদি জনগণ তাদের ভালো না বাসতো, তাহলে সেসব নেতা আমাদের নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করতেন না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণ থেকে প্রত্যাখাত হইনি। আমরা দুখি না। আমাদের জোর করে নির্বাচনে হারানো হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি এবং জানি কাল যদি একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, ইনশাআল্লাহ, জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি আবার ক্ষমতাসীন হবে। কাজেই লজ্জিত আপনারা হোন, কষ্টও আপনারা পান। কারণ এটা আপনাদের দরকার আছে। ’

যুবদল নেতাদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে যুবদল নেতারা আছেন। আগামী দিনে আপনারাই বিএনপির নেতা। আপনাদের তথ্য জানা দরকার। যে ইনডেমনিটি বিল নিয়ে এত কথা হচ্ছে, এ আইনটি হয় ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তিনি আওয়ামী লীগের বিশিষ্ট নেতা ও শেখ সাহেবের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ৭৩ এর নির্বাচনে ভোটে তিনি জেতেননি। রশিদ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব জিতেছিলেন। তার ব্যালট বাক্স দাউদকান্দি থেকে ঢাকায় নিয়ে এসে তাকে এমপি ঘোষণা করা হয়। তিনি তার মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন মোশতাক। তখন সংসদ বহাল ছিল এবং সংসদে আওয়ামী লীগ নেতারাই এমপি ছিলেন। তখনকার প্রশাসনও আগের সরকারের ছিল। ’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধ করুন। আপনাদের ইতিহাস অসংখ্য কলঙ্কে জর্জরিত। আপনারাই প্রথম দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। আপনারাই প্রথম জরুরি আইন করেছেন। আপনারা গণতন্ত্র জবাই করেছেন। আপনারাই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ করেছেন। আপনাদের সময় রক্ষীবাহিনীর অত্যাচারে বহু লোক মারা গেছে। আপনারা নিজেদের সংশোধন করুন। আমরা খুশি হবো, কারণ এ দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছি। ’

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকুর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, যুবদল নেতা এসএম জাহাঙ্গীর, গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা যুবদল নেতাদের নেতৃত্বে মিছিল সহকারে কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
এমএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।