ঢাকা: ৭ নভেম্বর উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এ দিনটিকে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে দলটি।
মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রিন্স বলেন, ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে।
বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর সমাধিতে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুর ১২টায় বিএনপি-ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, ১২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ১২টা ৩০ মিনিটে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। একই দিন বিকেল ৩টায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দিনটি উপলক্ষে দেশব্যাপী জেলা, মহানগর ও উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নিজ নিজ সুবিধানুযায়ী যথাযোগ্য মর্যাদায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দেশবাসী চরম এক দুঃসময়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বাক-ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ সব মৌলিক অধিকারের পথ সংকুচিত করে চলছে স্বাধীনতা পরবর্তীকালের মতো ভয়াবহ দুঃশাসন। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নিয়ে নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে মাস্তানতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে। যেখানে কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা এবং সম্মান নেই। ক্ষমতাসীনদের লাগামহীন ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, দখল, সন্ত্রাস, অনিয়ম ও অনাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বা সত্য কথা লিখলেই রাষ্ট্রীয় ও দলীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যা, গুম, অপহরণ, নির্যাতন, মামলা, গ্রেফতারসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমএইচ/এএটি