ঢাকা: বিএনপি সব সময় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। দুঃখ লাগে বাংলাদেশের মানুষ এখনো বিএনপিকে ভোট দেয়।
রোববার (৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছেলে এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
ফারুক খান বলেন, তিন কারণে দলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকছে। প্রথমত দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে চাওয়া মানুষ, দ্বিতীয়ত দলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চায় এমন ব্যক্তি এবং তৃতীয়ত দলের কোন্দল সৃষ্টি করতে চায় এমন লোক। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধরনের লোক থেকে সাবধান থাকতে হবে।
দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত প্রেসিডিয়াম মিটিংয়ে কোন্দল মেটাতে আটটি কমিটি করে দিয়েছেন। এই কমিটি দ্রুত কাজ শুরু করবে।
শহীদ আহসান উন্নাহ মাস্টার পরিচ্ছন্ন, সাহসী রাজনীতিবিদ ছিলেন। ওই সময় একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালানো হতো। ওই সময় নির্বাচন হলেই আমাকে আর আহসান উল্লাহ মাস্টারকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দিতেন। তার নির্বাচনী জ্ঞান থেকে অনেক কিছু শিখেছি। আগামী দিনে চলার পথে তিনি আমাদের পথপ্রদর্শক।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ গাজীপুরের জনপ্রিয় জননেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। জনপ্রিয় অনেকেই হন, কিন্তু মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই কতজন নিতে পারেন? আহসান উল্লাহ ছিলেন তেমনই একজন। দেশের আন্দোলন, সংগ্রাম, অধিকার নিশ্চিতকরণে তার নাম চির অক্ষয় হয়ে থাকবে।
তিনি বলেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর, ২০০৪ এর ২১ আগস্ট এবং আহসান উল্লাহ মাস্টারের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। আহসান উল্লাহ মাস্টারের মতো নিবেদিতপ্রাণ নেতা যারা ছিলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বিভিন্ন সময় তাদের হত্যা করে। প্রকৃতপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করার জন্য এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ সততা, আদর্শের ইতিহাস তৈরি করে গেছেন। তার সেই জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বাড়ির সামনে হত্যার নীলনকশা করা হয়। এরপরই ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা করা হয়। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ওপর হামলা চালায়। এদের প্রত্যেকে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। আমার বাবা অবৈতনিক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার হত্যাকারীদের বিচার দ্রুত চাই।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এখনও অপপ্রচারকারীরা সক্রিয়। দলগতভাবে তরুণসমাজকে এদের রুখে দিতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
ডিএন/এএ