ঢাকা: নির্বাচন কমিশনদের (ইসি) বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা খালেকুজ্জামান।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতিকে বিবেচনায় নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে তার ফলে দেশবাসী ইসির কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক অবহিত হয়েছেন। জনমনে উত্থাপিত প্রশ্ন এবং পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বিশিষ্ট নাগরিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে রাষ্ট্রপতি কাছে চিঠি লিখতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে ইসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে গত ১৪ ডিসেম্বরে চিঠি দেন ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক।
এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে অনুরোধও জানিয়েছেন তারা। রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া আবেদনে নির্বাচন কমিশনের গুরুতর অসদাচরণ ও আর্থিক দুর্নীতির কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেন।
এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-নির্বাচন কমিশনারদের বিশেষ বক্তা হিসেবে ২ কোটি টাকার বেশি গ্রহণ, কর্মচারী নিয়োগের নামে ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার দুর্নীতি, নিয়মবহির্ভূতভাবে তিনটি গাড়ি ব্যবহার এবং ইভিএম কেনায় অনিয়ম। এছাড়াও অসদচারণের মধ্যে রয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ, ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম। চিঠিতে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের অধীনে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্তপূর্বক ববস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন তারা। কোনো অভিযোগ এলে তা বিবেচনা করার ন্যূনতম সৌজন্যবোধও সরকারিমহল হারিয়ে ফেলেছেন।
খালেকুজ্জামান অবিলম্বে নাগরিকদের উদ্বেগ ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করার আহ্বান জানান।
একইসঙ্গে এ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সব বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২০
আরকেআর/এএটি