ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মশার উপদ্রবে নাকাল নগরবাসীকে রক্ষা করুন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২১
মশার উপদ্রবে নাকাল নগরবাসীকে রক্ষা করুন

ঢাকা: ঢাকায় কিউলেক্স মশার উপদ্রব অতিমাত্রায় বেড়েছে। দিন-রাত মশার কামড়ে অতিষ্ঠ নগরবাসী।

মশার উপদ্রবে নাকাল নগরবাসীকে রক্ষায় সরকার ও সিটি করপোরেশনের মেয়রদের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ।

শুক্রবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ আহ্বান জানান।

তারা বলেন, রাজধানীতে এখন চলছে মশার রাজত্ব। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এখন মশার উপদ্রব চার গুণ বেশি। শুধু রাতে নয়, দিনের আলোয়ও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে নগরবাসী। কার্যকরভাবে পূর্ব প্রস্তুতি না নেওয়ার ফলেই এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, বাজার, উন্মুক্ত স্থান, সড়ক, পার্ক, খেলার মাঠ, মসজিদ সর্বত্রই এখন মশার রাজত্ব।

নেতারা বলেন, মশা নিধনে দুই সিটি করপোরেশনের যথেষ্ট বরাদ্দ থাকার পরও নগরবাসীকে মশার কামড়ের ধকল সহ্য করতে হচ্ছে কেন? মশক নিধনে দুই সিটির যে সমন্বয় থাকা প্রয়োজন ছিল তাও লক্ষ্য করছে না নগরবাসী। অবস্থা এখন এমন দাঁড়িয়েছে যে, নগরবাসীর মনে প্রশ্ন মশাই যদি না মারা যায় তাহলে মেয়র-কাউন্সিলরদের থাকার দরকার কী?

তারা আরও বলেন, মশা নিধনের ওষুধ ছিটানোর বিষয়ে রয়েছে অনেক কথা। লক্ষ্য করা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোয় ওষুধ ছিটানো হয় বেশি, অন্য এলাকাগুলোর প্রতি কর্তৃপক্ষের তেমন নজর নেই। এ বৈষম্য দূর করতে হবে অবশ্যই। প্রয়োজনে দুই সিটির লোকবল বাড়াতে হবে। অন্যদিকে ওষুধ ছিটিয়ে সফলতা পেতে হলে উড়ন্ত মশা মারার ফগিং পরিচালনা কমিয়ে লার্ভা নিধনে লার্বিসাইট ওষুধের ব্যবহার বাড়াতে হবে।

নেতারা বলেন, দফায় দফায় পাল্টানো হচ্ছে মশা মারার ওষুধ। ওষুধ আমদানিতে হচ্ছে টেন্ডার। কিন্তু ফলাফল শূন্য। দুই মেয়র ও নগর ভবনের কর্মকর্তারা আন্তরিক না হলে পরিস্থিতির যে উন্নতি হবে না এটা দিবালোকের মতো সত্য। জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে তাদের উদাসীনতা কিংবা অবহেলা যতদিন দূর না হবে ততদিন মশার দাপট কমবে না-এটাই মনে করে নগরবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২১
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।