ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সরকারের অবহেলার কারণে করোনা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
‘সরকারের অবহেলার কারণে করোনা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে’ ‘সরকারের অবহেলার কারণে করোনা আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে’

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ইউরোপ যে দামে টিকা কিনেছে তার থেকে দ্বিগুণ দামে বাংলাদেশ কিনেছে। সরকারের নানা অবহেলার কারণে আজকে আবার করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতি দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, গত বছর ৮ মার্চ করোনা এদেশে দেখা দিয়েছিলো। শুরুতে এ সরকার করোনা পরিস্থিতিকে এভোয়েড করেছে তাদের একটি জাতীয় প্রোগ্রামকে সামনে রেখে।

তিনি বলেন, সরকার মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা কিনেছে। বিকল্প চেষ্টা তারা করলো না। সারাবিশ্ব কিন্তু একাধিক সোর্স থেকে টিকা কিনেছে। ইউরোপ যে দামে টিকা কিনেছে তার থেকে দ্বিগুণ দামে বাংলাদেশ কিনেছে। সরকারের নানা অবহেলার কারণে আজকে আবার করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা তার চরিত্র বদল করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যেখানে সারা পৃথিবী ব্যবস্থা নিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ সাবধানতা অবলম্বন করছে না।

তিনি বলেন, ভারত লকডাউন দিচ্ছে আবার ইউরোপেও লকডাউন। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কারণ, তাদের সামনে কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে। যেখানে সংক্রমণের হার ৩ এর নিচে নেমে এসেছিলো, সেখানে সংক্রমণের হার গতকাল সোমবার ১০ এর ওপরে।

করোনা বিষয়ে সরকার এখনও উদাসীন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা যখন বাড়বে তখন বাড়তেই শুরু করবে। আমরা মনে করি, সরকার এখনও উদাসীন কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউটাকে প্রতিহত করার বিষয়ে যে কর্মকাণ্ডগুলো করা দরকার তার একটাও তারা করছে না।

তিনি বলেন, এই সময় আমরা দেখতে পাচ্ছি বিদেশ থেকে মেহমানরা বাংলাদেশে আসছেন। করোনার ঊর্ধ্বমুখী অবস্থায়ও তারা যে আসছেন, এজন্য তাদের আমরা স্বাগত জানাই।

সরকার প্রধানদের আগমনে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপি এই নেতা বলেন, কেন এটা করা হয়েছে। সরকারপ্রধান অতীতেও বাংলাদেশ এসেছে। বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা যদি জানতেন তাদের আগমন উপলক্ষে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলা হচ্ছে, তাহলে তারা লজ্জিত হবেন। তিনি দশ দিন ধরে সব রাজনৈতিক সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে বহু দিন ধরে আলাপ-আলোচনা চলছে। গতবার যখন দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলাপ-আলোচনা হলো তখন তিস্তা চুক্তির বিষয়ে এজেন্ডাও ছিলো না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বলা হলো, আমাদের তো কোন আপত্তি নেই, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এতে রাজি হচ্ছেন না। এখন আমাদের পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন ১০ বছর আগে নাকি এই তিস্তা চুক্তির পাতায় পাতায় সই হয়ে রয়েছে। এখন জনগণের পক্ষ থেকে আমাদের জিজ্ঞাসা, আপনারা তো ১০ বছর ধরে ক্ষমতায়, আর আজকে যে বললেন ১০ বছর ধরে পাতায় পাতায় স্বাক্ষর হয়ে রয়েছে, তাহলে কী রহস্য রয়েছে তা জনগণের সামনে কেন তুলে ধরলেন না। যদি পাতায় পাতায় সই হয়ে থাকে তাহলে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর সম্পাদন শেষ করেন।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
এমএমআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।