ঢাকা: বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে স্বাধীন দেশকে আবার নব্য পাকিস্তানে রূপান্তর ছিল ঘাতক চক্রের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু।
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের এই সমন্বয়ক।
১৯৭৫ সালে জাতীয় চার নেতার সঙ্গে একই কারাগারে ছিলেন তিনি।
আমির হোসেন আমু জানান, ওইদিন রাত ২টা ২০ মিনিটে প্রথম ব্রাশ ফায়ারের শব্দ শুনতে পাই। পরবর্তীতে ২০ মিনিট পর আবারও একই শব্দ পাই। ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর কাতরানোর শব্দ শুনে সব নেতার মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঘাতকরা আবারও ব্রাশ ফায়ার করে এবং বেয়োনেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে তা নিশ্চিত করে। জেলের ভেতর এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড বিরল ঘটনা ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্র যে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে, তারই ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তার নির্দেশিত পথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে জাতীয় চারনেতা যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন, সেই অবদান কোনোদিন ভোলার নয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধকে গলা টিপে হত্যা করে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন, বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়ন, এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে তার আসল চেহারা উম্মোচন করে। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আজমকে দেশে এনে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় জিয়াউর রহমান।
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে যারা নব্য পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল তা নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আবার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বেই সব সঙ্কট উত্তরণ করে উন্নয়ন আর অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২১
এসকে/এমএমজেড