ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব বলেছেন, দেশবাসীর মনে এই সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও ক্ষোভ ফুঁসে ওঠেছে। সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সুযোগ না দিলেও জেলখানায় ফাঁসির আসামিকে বিয়ে পড়ানোর সুযোগ দিয়েছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, সরকার আইনের দোহাই দেখাচ্ছে। সরকার চাইলে পারে না এমন কোনো কাজ নেই। আসলে খালেদা জিয়াকে তারা চিকিৎসা করাবে না, কারণ সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।
তিনি বলেন, এই সরকার ১৭ কোটি মানুষকে বন্ধক রেখেছে। মাথাপিছু লাখ টাকা ঋণ। দুর্নীতি আর লুটপাট করবেন আপনারা আর ঋণের বোঝা বহন করবে জনগণ। তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। আর যদি তা না করেন, তাহলে এই সরকারকে চরম মাশুল দিতে হবে।
দেশের সব দল ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন দেশকে মুক্ত করি, গণতন্ত্র মুক্ত করি, জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেই।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকার খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের গণঅনশন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় গণঅনশনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
এছাড়া আরও বক্তব্য দেন পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতীক), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির একাংশের মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, এলডিপির অপর অংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার একাংশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব প্রফেসর আব্দুল করিম, ন্যাপ ভাসানীর নেতা অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এমএইচ/জেএইচটি