ঢাকা: আবারো সরকার পতন আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিলে এ সরকার পতনের আন্দোলনের মুখোমুখি হতে হবে।
রোববার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের আপসহীন গণতন্ত্রের নেত্রী অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন তার বাইরে চিকিৎসা করা অত্যন্ত জরুরি। সেই অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। সেই সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। আজকে এ আলোচনা সভা থেকে বলতে চাই, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক, তাকে মুক্তি দেওয়া হোক। তা না হলে এ সরকার পতনের আন্দোলনের অবশ্যই মুখোমুখি হতে হবে। তাদের পতনের সামনে দাঁড়াতে হবে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মওলানা ভাসানী এ সমাজটাকে পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। একদিকে ইসলাম অন্যদিকে সমাজতন্ত্র। তিনি ছিলেন একজন আধ্যাত্মিক পুরুষ। সেজন্য তাকে পীর বলা হতো, তিনি মওলানা। ভাসানী নামটা এসেছে আসামের ভাসানচর থেকে। সেখানে তিনি ঘোড়া নিয়ে ছুটে বেড়াতেন। এত দ্রুত এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যেতেন সেজন্য সবাই বলতো একটা ভাসানী। অনেকটা জীনের মতো। একখান থেকে আর একখানে ছুটে চলে যায়। এভাবে সারাজীবন ছুটে বেড়িয়েছেন, এ দেশের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যে কয়েকজন মানুষের অবদান আছে, মওলানা ভাসানী নিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে অন্যতম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
এমএইচ/আরবি