জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এতিম অসহায় এক কিশোরীকে দিনেরপর দিন ধর্ষণ করেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয় ওই কিশোরী।
স্থানীয়রা জানায়, কিশোরী মেয়েটি এতিম। ছোট থাকতেই তার বাবা মারা যায় তার। অভাব অনটনের কারণে মেয়েটিকে তার মা সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আর্চচাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনে ওরফে দেলুর বাড়িতে গৃহ-পরিচারিকার জন্য কাজে দেয়। এরপরেই অসহায় কিশোরীর ওপর খারাপ দৃষ্টি পড়ে দেলুর।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এরপর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কিশোরীকে চাপ দিতে থাকে দেলোয়ার। কয়েক দফা ও কিশোরীকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি তখন কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেন দেলু। লজ্জায় ও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি কিশোরী ও তার মা।
মঙ্গলবার বিকালে পেটে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে যান ওই কিশোরী। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ফেরার সময় হাসপাতালের বাথরুমে সে যায়। সেখানেই ফুটফটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় ওই কিশোরী। বিষয়টি মুহূর্তেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু বাংলানিউজকে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। মেয়েটির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েছে দেলোয়ার। আমি দেলোয়ারকে মেয়েটিকে বিয়ে করে সামাজিকভাবে নবজাতক সন্তানের স্বীকৃতি দিতে বলেছি।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার শোনার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
এনটি