ঢাকা: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়ার দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এক বিবৃতিতে এ কথা উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ’৬২-এর ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবে তৎকালীন স্বৈরশাসক আইউব খান পরিবহনে ছাত্রদের হাফ ভাড়া প্রবর্তন করেছিল। ’৬৯-এর পর এমনকি ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশে ছাত্রদের এ অধিকার অব্যাহত ছিল। কোনো অজানা কারণে এবং কবে, কখন এ ব্যবস্থা বাতিল হলো তা কারো জানা নেই। সেদিনের জাতীয় নেতা, আজকের অনেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যারা সেই হাফ ভাড়া দিয়েই পরিবহনে যাতায়ত করেছেন। এটা নিশ্চই অনেকের স্মরণে আছে। ‘হাফ পাস আবদার নয়, অধিকার’ ছাত্রদের এ দাবি সঙ্গত।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিতে মালিকদের অনীহা বিস্ময়কর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। তাদের সামাজিক কোনো দায় আছে বলেও মনে হয় না। তারা সরকারের হাফ ভাড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে হুমকি দেয়। অন্যদিকে সরকার মালিকদের এ ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রতিও কেমন যেন নির্বিকার। মালিকদের এহেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ একবারেই যেন নিরুৎসাহী। অথচ আমাদের আশপাশের দেশসহ পৃথিবীর সবখানেই শিক্ষার্থীদের কম মূল্যে ভাড়ার প্রথা চালু আছে।
ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতা বেসরকারি বাসে ছাত্রদের হাফ ভাড়া নেই বলে যে কথা বলেছেন তা এ যাবৎ চলে আসা একটি স্বীকৃত ব্যবস্থাকে অগ্রাহ্য করার সামিল।
প্রতিদিন বর্ধিত ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও বাসে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে সৃষ্ট অপ্রীতিকর ঘটনা বন্ধে শূল্যবৃদ্ধির চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নেওয়া এবং নগরীতে তথাকথিত ‘সিটিং সার্ভিস ও গেট লক’ প্রথা বন্ধের যে ঘোষণা মালিক পক্ষ দিয়েছেন তা কার্যকর করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
আরকেআর/আরবি