ভোলা: ভোলার দৌলতখানে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম টিটু (৩৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত টিটুর ভাই মো. হানিফ বাদী হয়ে শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাতে ভোলা সদর মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আবুল বাশারকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে। সে ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ভোলার দৌলতখানের মদনপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং আনন্দ মিছিলে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে চেয়ারম্যান নান্নু ডাক্তার চেয়ারম্যানের লোকজন ভোলা শহরে ফেরার পথে নাছির মাঝি এলাকায় একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী সকেট জামাল গ্রুপ ও নান্নু ডাক্তার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নান্নু ডাক্তারের সমর্থক যুবলীগকর্মী টিটু মারা যান। এ নিয়ে শুক্রবার রাতব্যাপী উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে মদনপুর ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এনটি