ঢাকা: পরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস দেওয়ার দাবির প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেবে, তবুও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার স্বার্থে সব বাসে তাদের হাফ পাস দিতে হবে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন করেন। কী উন্নয়ন করেছেন। আজকে বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে স্কুলের ছেলে-মেয়েরা রাস্তায় নেমেছে। তাদের হাফ পাস দিতে হবে। কেন বলছে, কারণ তাদের এখন লেখাপড়া খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তাদের মা-বাবারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। তারা হিমশিম খাচ্ছে।
তিনি বলেন, একদিকে চাল-ডাল-তেল লবণের দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বইপত্র, খাতা কলমের দাম বেড়েছে। আর সেই সঙ্গে বাস ভাড়া বাড়িয়ে দিয়ে তাদের একটা চরম বিপর্যয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ গণবিরোধী সরকার প্রথমে ডিজেল আর কেরোসিনের দাম বাড়িয়ে দিল। তারপর সঙ্গে সঙ্গে বাস মালিকদের ধর্মঘটে নামিয়ে দিল। তাদের ভাড়া বাড়াতে হবে। এ ভাড়া, জ্বালানির দাম বাড়লো কার স্বার্থে? আওয়ামী লীগের দুর্নীতি পরায়ণ সিন্ডিকেট। তাদের পকেট ভারি করার জন্য জনগণের পকেট কাটছে। এখন সরকার বলছে আমরা বিআরটিসির বাসের ভাড়া কমালাম। কিন্তু বাইরের বাসের ভাড়াতো আমরা কমাতে পারবো না। তোমরা প্রাইভেট ফোন-মোবাইল কন্ট্রোল করতে পারো। তোমরা প্রাইভেট সব ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারো। আর তোমরা বাস ভাড়া কমাতে হলে ২/৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয় তা তোমরা দেবে না কেন? শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার জন্য, শিক্ষার জন্য। আজকে আমরা এ সমাবেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। দাবি করছি অবিলম্বে ভাড়া কমিয়ে তাদের হাফ পাস দেওয়া হোক। প্রয়োজনে সরকার ভর্তুকি দেবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সারাদেশের মানুষ একটা কারাগারে বসবাস করছে। একটুও শান্তি নেই, স্বস্তি নেই। মানুষরা কেউ হাসিমুখে কথা বলে না। কেউ নিরাপদে রাস্তায় বের হতে পারে না। ভয়াবহ একটা অবস্থার মধ্যে দেশের মানুষ।
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের পরিচলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রয়াত সভাপতি শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি গোলাম সরোয়ার, আসাদুজ্জামান নেসার, আনু মোহাম্মদ শামীম আজাদ, আজহারুল হক মুকুল, এ বি এম পারভেজ রেজা, লিটন মাহমুদ, শাহাবুদ্দিন মুন্না, ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, যুগ্ম-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, কাদের হালিমী, ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল আলম, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, মোস্তাফিজুর রহমান মনির, আরিফুর রহমান আরিফ, আজগর হায়াত লিমন, মোখলেছুর রহমান, তকদির হোসেন স্বপন, আশ্রাফ উদ্দিন রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এমএইচ/আরবি