ঢাকা: অসহায়-দুস্থ, ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আশ্রয়ে যুবলীগের আশ্রয় কর্মসূচির ৩য় ধাপের উদ্বোধন হবে ৮ ডিসেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ ফজলুল হক মণি: সৃষ্টিশীল তারুণ্যের প্রতীক’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আমরা গৃহহীনদের গৃহদান কর্মসূচির আদলে আশ্রায়ণ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আগামী ৮ ডিসেম্বর ইনশাআল্লাহ এ কর্মসূচির ৩য় ধাপের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাবার স্মৃতিচারণ করে শেখ পরশ বলেন, আমার প্রিয় যুবলীগের ভাই ও বোনেরা আপনাদের নেতা, শেখ ফজলুল হক মণি আমার বাবা। বাবাকে আমরা খুব কম পেয়েছি। আমার বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বাবার কর্ম আজো বেঁচে আছে, বাবার লক্ষ্য রাজনৈতিক অনুসারীদের মধ্যে। বাবার প্রতি তাদের যেই ভালোবাসা আর সম্মানবোধ সেটা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ ফজলুল হক মণি ভাইয়ের জন্মদিনে স্মরণসভা করবো এটা কখনও ভাবিনি। জন্মদিন যেমন আনন্দের তেমনি জন্মদিনে স্মরণসভা অত্যন্ত বিয়োগান্তক বেদনা বিধুর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা শুধু প্রমাণ করেননি, তাকে শুধু বাস্তবায়িত করেননি, এটাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন শেখ মণি ভাই। তিনি কারান্তরীণ হওয়ার আগে চারণের বেশে সারাদেশ ঘুরে ছয় দফাকে জনগণের অন্তরে গ্রথিত করেছেন। ছয় দফাকে কেন্দ্র করে মনি ভাই হরতাল পালন করেন। সেই হরতালকে সফল করেছেন নারায়ণগঞ্জের আদমজীর শ্রমিক ও তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের শ্রমিকদের সমন্বয়ে, এ সন্বয়ের মূল কারিগর ছিলেন মণি ভাই।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে একইভাবে বলতে হবে ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে যুবলীগ আছে শেখ হাসিনার সাথে।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজ প্রোগ্রামে আসার সময় দেখলাম বিএনপি-ছাত্রদলের কুলাঙ্গাররা দেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুসহ মণি ভাইকে যারা হত্যা করেছে, আরজু মণিকে যারা হত্যা করেছে, সেই জামায়াত-বিএনপির দোসররাই আজকে দেশের বিরুদ্ধে, নেত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। এ হত্যাকারীরা আবার নতুন করে মাঠে আসতে চায়। যুবলীগের বন্ধুরা, শেখ মণির আত্মাকে শান্তি দিতে হলে, বঙ্গবন্ধুর আত্মাকে শান্তি দিতে রাজপথে থেকে এ জামায়াত-শিবির কুচক্রীমহলকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, ডা. খালেদ শওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, সংসদ সদস্য (এমপি) মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এর আগে সকালে বনানী কবরস্থানে শহীদ শেখ ফজলুল হক মণিসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহিদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এসকে/আরআইএস