ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

অতি রাজনীতির শিকার খালেদা জিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
অতি রাজনীতির শিকার খালেদা জিয়া কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিএনপির অতি রাজনীতির শিকার বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন এজন্য বিএনপির নেতাদেরকেই একদিন দলের ভেতরেই জবাবদিহি করতে হবে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, এবং দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

 

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মসূচির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিএনপির অতি রাজনীতির শিকার বলে দেশের জনগণ মনে করে। তাদের এত বাঘা বাঘা আইনজীবী তার মামলা নিয়ে দীর্ঘ কালক্ষেপণ করা, তাদের অতি রাজনীতির এই ফল। মির্জা ফখরুল বলেছেন খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জনিং করা হয়েছে। বিএনপির লোকজন, তার গৃহপরিচালকরা, তাদের চিকিৎসকরা তার আশ-পাশে থাকেন। আওয়ামী লীগের লোকজন কিভাবে স্লো পয়জনিংয়ে করবে? এটা হাস্যকর ব্যাপার। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে অতি রাজনীতির জন্য একদিন বিএনপির নেতাদেরকে তাদের দলের ভেতরেই জবাবদিহি করতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নামক দলটি রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তপ্ত ছড়াতে বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বিষদগার করছে। মির্জা ফখরুল আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ নাকি থাকবে না। আসলে তিনি হয় তো বলতে চেয়েছিলেন, খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি থাকবে না। হয়তো খেউ হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ কেন থাকবে না। খালেদা জিয়া না থাকলে বিএনপি না থাকার প্রশ্ন থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ জনগণের মাঝ থেকে বেড়ে উঠা দল। যত দিন বাংলার ভূখণ্ড থাকবে, লাল-সবুজের পতাকা থাকবে ততদিন আওয়ামী লীগ এই বাংলার মাটিতে থাকবে।

ওবায়দুল কাদের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন দিবসের কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দিন এরশাদের নেতৃত্বাধীন স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। স্বৈরাচারের পতন হলেও এখনও দেশে গণতন্ত্রের শত্রুরা,স্বাধীনতার শত্রুরা তৎপর। দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে এরা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আরও সুসংগঠিত থাকতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।