ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে: ফখরুল বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেঅবস্থান নিয়েছে, তারা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বাইরে যেতে দিতে চায় না। একটা আদেশ দিয়েছে, যে আদেশে শর্তসাপেক্ষে তাকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করতে বলা হয়েছে।

এটা সম্পূর্ণভাবে একটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। তাদের ভয় খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাদের তখতে তাউছ ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। সে কারণেই তারা তাকে বাইরে চিকিৎসার জন্য দিতে চায় না।

সোমবার (১৩ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা প্রায় এক মাসের বেশি আন্দোলন করছি। আমরা রাজপথে অনশন, সমাবেশ করেছি, দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করেছি।   পুলিশের নির্যাতনের পরও বিভিন্ন জায়গায় আমাদের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করছেন।

তিনি বলেন, আজকে পেশাজীবী ভাইদের ধন্যবাদ জানাতে চাই, অতীতে তারা যে দায়িত্ব পালন করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেশে পরিবর্তনের জন্য পেশাজীবীরা সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমি আপনাদের আহ্বান জানাতে চাই, আসুন আর বিলম্ব নয়, জনগণ বেরিয়ে আসছে, আশা করি তারা আরও বেশি করে বেরিয়ে আসবে। তখন শক্তির সঙ্গে আমরা সেই আন্দোলন শুরু করতে পারব, যে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আমরা এই সরকারকে বাধ্য করতে পারব দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে আজকের আন্দোলন শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন হচ্ছে সারা দেশের, সারা জাতির মুক্তির আন্দোলন। আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের অর্জনগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সে কারণে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যের মধ্যে দিয়ে একটা দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট ও দানবীয় আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে পারব। তাদের বাধ্য করব দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার চিকিৎসা এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আবদুস সালাম, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, বিএফইউজ একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, মহাসচিব নুরুল আমীন রোকন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজে একাংশের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, পেশাজীবী নেতা কৃষিবিদ গোলাম হাফিজ কেনেডি, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, কৃষিবিদ চৌধুরী আব্দুল্লাহ ফারুক, শামসুল আলম, রফিকুল ইসলাম রফিক, আক্তার হোসেন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম সভাপতি কালাম ফয়েজী, হারুন অর রশীদ গাজী, সাখাওয়াত হোসেন, অ্যাড. আব্দুল মতিন, জাকির হোসেন, ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।