ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২
‘সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে’

ঢাকা: সার্চ কমিটির সুপারিশ জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এটা স্পষ্ট যে, এ অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশনের মতোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। এটা জনগণের সঙ্গে আরেকটি প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়।

তিনি বলেন, এ ধরনের তামাশা জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। গত এক দশকে মানুষের মৌলিক অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটা একটা বড় অপরাধ। এর জন্য ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে সার্চ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে এ কমিটির সদস্য সংখ্যা ছয়জন।

বর্তমান সংকট উত্তরণে নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে অনুসন্ধান কমিটি এবং তাদের দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারবে না বিধায় বিএনপি গঠিত অনুসন্ধান কমিটির বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করতে চায় না। বিএনপি মনে করে এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অর্থহীন ও অগ্রহণযোগ্য।

তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে কেবলমাত্র নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে এ সংকট উত্তরণ সম্ভব।

গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়।

আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত সার্চ কমিটির সব সদস্যের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, যাদের সমন্বয়ে এ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কমিটির প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন দুই টার্মে। তিনি ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। ২০১৮ তার বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত গণপরিষদের সদস্য। তার ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসান প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছেন। আরেক সদস্য ছহুল হোসাইন ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। অন্য সদস্যরা প্রায় আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্ত। যেমন বিচারপতি কুদ্দুস সাহেবের গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর যে দুজন কনট্রোলার জেনারেল ও পিএসসির চেয়ারম্যান তারাও আওয়ামী লীগ সরকার দ্বারাই মনোনীত। সুতরাং যে ছয়জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।