ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সালথায় আ.লীগ নেতার ওপর হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
সালথায় আ.লীগ নেতার ওপর হামলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর

ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর (৭৫) ও তার স্ত্রী জিনিয়ারা বেগমের (৫৫) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

 হামলায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনই গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর অবিভক্ত নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।  

নুরুজ্জামান টুকুর ছেলে বাদল ঠাকুর বলেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আমার বাবা নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্রী প্রার্থী মো. রফিক মোল্যা বিজয়ী হন। এর আগে নির্বাচনী সহিংসতায় রফিকের সমর্থক খারদিয়া গ্রামের মো. মারিছ সিকদার নিহত হন। নিহতের ঘটনায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়। নির্বাচনের পর ওই হত্যা মামলায় কারাগারে ছিলেন আমার বাবা।  

বাদল ঠাকুর অভিযোগ করে বলেন, গত তিনদিন আগে জেল থেকে তিনি জামিনে বের হয়ে এক আত্মীয় বাড়িতে ওঠেন। সেখান থেকে শনিবার সকালে আমার বাবা বাড়িতে গেলে চেয়ারম্যান রফিকের সমর্থক ২ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ইরন খন্দকার, নুর আমিন খন্দকার ও হেমায়েত মোল্যাসহ ৮-১০ জন তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় হামলা ঠেকাতে এলে আমার বৃদ্ধা মাকেও আহত করে তারা। হামলায় আমার বাবা-মা দু’জনই গুরুতর আহত হয়ে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।

এদিকে হামলার কথা অস্বীকার করে ইউপি সদস্য ইরন খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, এ হামলার বিষয় আমি কিছুই জানি না। কে বা কারা হামলা করেছে, সেটাও জানি না।

যদুনন্দী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. রফিক মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুর ও তার স্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় আমার সমর্থক ইউপি সদস্য ইরন খন্দকার জড়িত নয়। তিনি মারিছ সিকদার হত্যা মামলার আসামি। মারিছের পরিবারের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।  

প্রবীণ এ নেতার ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইরন খন্দকার লোকজন নিয়ে নুরুজ্জামান টুকু ঠাকুরের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।  

এ ব্যাপারে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগ ওই নেতার ওপর হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।