ঢাকা: ‘বিএনপি নির্বাচন নয়, ক্ষমতার নিশ্চয়তা চায়’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বলেন, বিএনপির কাছে একমাত্র সমাধান হচ্ছে এমন একটি কমিশন, এমন একটি ব্যবস্থা, যেটি আগে থেকেই তাদের ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তা দেবে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীতে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ এবং অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। জাতীয় সংসদ সদস্যদের স্বাস্থ্য বিষয়ক ফোরাম ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং’ এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাতের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার আ. ফ. ম. রুহুল হক এবং সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে আসলে নির্বাচন ভীতি পেয়ে বসেছে। এজন্য তারা নির্বাচন নিয়ে সবসময় নেতিবাচক কথা বলে আসছেন। বিএনপি চায় কর্তৃপক্ষ বলবে তাদেরকেই ক্ষমতায় বসাবে, অন্যথায় তারা মানবে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, সুশীল সমাজসহ সবার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং সেখানে কে যেতে পারে বা না পারে সেটা তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা। কিন্তু কমিশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, সাধুবাদ জানাই।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা অবশ্যই চাই দেশে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অত্যন্ত সুন্দর নির্বাচন হোক, সেখানে বিএনপিসহ সব দল অংশ নিক। কিন্তু কেউ অংশ নেবে কি নেবে না সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিএনপির নেতৃত্বে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ বিএনপির নেতারা যেখানে হুকুমের আসামি, সেটি এখনও বিচারাধীন। এগুলোর বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হওয়া প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এভাবে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সমসাময়িক বিশ্বে কোথাও ঘটেনি। কোনো কোনো দেশে জাতিগত সংঘাত হচ্ছে, কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, ঘুমন্ত ট্রাকড্রাইভারকে হত্যা, স্কুলগামী শিশুকে বোমা নিক্ষেপ করে হত্যা -এ ধরনের ঘটনা পৃথিবীর কোথাও গত দশ-বিশ বছরে ঘটেনি। যেটি বিএনপি ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ২২ মার্চ,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড