ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

রাজনীতি

রোজাকে ঘিরে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে: কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২২
রোজাকে ঘিরে বাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে: কৃষিমন্ত্রী

সাভার (ঢাকা): কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘রোজাকে কেন্দ্র করে একটা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কমিউনিস্ট পার্টির কিছু বামপন্থি নেতারা আজকে তারা হরতাল দিয়েছে।

তাকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি ও কিছু ভূইফোঁড় দল। কেমন হরতাল হয়েছে ভাই? এর চেয়ে হেফাজত তাও ভালো। হেফাজত তাও মতিঝিলে বিশাল সমাবেশ করতে পারে। আমার টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ কিংবা চিটাগাংয়ের কথা বাদই দিলাম। ঢাকা শহরেওতো একটা মানুষকে দেখলাম না হরতালের পক্ষে কথা বলে। মানুষ নির্বিঘ্নে কাজ করছে। ’

সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় সাভারে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) মাঠে আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

এসময় মন্ত্রী বিএনপি সরকার আমলের সঙ্গে তুলনা করে বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে কমিউনিস্ট পার্টির ডাকা হরতালে বিএনপিসহ কিছু ভূইফোঁড় সংগঠন সমর্থন দিলেও এতে কোন প্রভাব পড়েন। বিএনপির আমলে একদিনের মজুরি দিয়ে চার কেজি চাল কেনা যেত। আজকে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, সাভার ও গাজীপুর এসব এলাকার একজন শ্রমিক একদিনের মজুরি দিয়ে এখন ২০ কেজি পর্যন্ত চাল কিনতে পারে। আমার কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, টাঙ্গাইল কিংবা জামালপুর হয়ত ৮-১০ কেজি চাল কিনতে পারে। এটা কী একটা অর্থনৈতিক সূচক না? তারা (বিএনপি) বলছে, খাদ্য শস্যের দাম বেশি। কিছু খাদ্য শস্যের দাম বেড়েছে এটা আমরা শিকার করি। কিন্তু আমি বলতে চাই, সারা বাংলাদেশে আমাদের নেত্রী কী বসে আছেন? আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি না?

সরকারের কর্মসূচি ও দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা ওএমএস এ চাল দিচ্ছি। আমরা ভিজিএফ দিচ্ছি। ১০ টাকা কেজি ৫০ লাখ পরিবার, ৫ জন করে ধরলেও আড়াই কোটি মানুষকে আমরা ১০ টাকা কেজি চাল দিচ্ছি। আমরাতো অস্বীকার করছি না। তবে দাম কেন বাড়ছে? আন্তর্জাতিক বাজারে ১ টন সয়াবিনের দাম ছিল ৬০০ ডলার। সেটি এখন ১৮০০ ডলার। জাহাজের ভাড়া ছিল একেকটা কনটেইনারে ৫০০-৬০০ ডলার। তা এখন বেড়ে ১৮০০-২০০ ডলার। ৯০ ভাগ ভোজ্য তেল সয়াবিন, পামওয়েল বিদেশ থেকে আনতে হয়। এটি আনে প্রাইভেট সেক্টর। আমি বললেইতো আর তারা দাম কমাবে না। সরকার চেষ্টা করছে, ১ কোটিরও বেশি মানুষকে তেল, চাল, ডাল দেওয়ার চেষ্টা করছি।

আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে ফারুক হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২২
এসএফ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।