ঢাকা, রবিবার, ১৬ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

মির্জাপুরে এমপি শুভর ওপর হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
মির্জাপুরে এমপি শুভর ওপর হামলা সংগৃহীত ছবি

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।  

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুর ছেলে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছে বলে জানা গেছে।

হামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আহত হন।  

এছাড়া হামলাকারীরা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) দিকেও তেড়ে যান।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মির্জাপুর সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামসহ নেতারা উপজেলা পরিষদ মিলানায়তনে দুপুরের খাবার খান।

বিকেলের দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম মীর শরীফ মাহমুদকে সভাপতি ও তাহরীম হোসেন সীমান্তকে সাধারণ সম্পাদক করে মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটি ঘোষণার পর মির্জা আজমকে বিদায় দেন খান আহমেদ শুভ। এ সময় যুবলীগ নেতা মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃতে খান আহমেদ শুভর ওপর হামলা চালান উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইসতিয়াক মাহমুদ সান।  

এতে আহমেদ শুভসহ টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমেল আহত হন। রাজীবের নেতৃত্বে এই হামলায় মীর অভি, নাজিম, আজিজুল, একাব্বর হোসেন ও শামীমসহ বেশ কয়েকজন অংশ নেন বলে জানা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের দিন মীর মঈন হোসেন রাজীবের নেতৃত্বে প্রয়াত সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেনের বাসভবনে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মীর মঈন হোসেন রাজীবের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন।

যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, সুন্দনভাবে সম্মেলন শেষ হয়েছে। সভাপতি ও সম্পাদককে উপস্থিত সবাই মেনে নিয়েছেন। সবার উপস্থিতিতেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
  
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে মির্জা আজমকে বিদায় জানানো হয়। এর পরপরই পেছন থেকে রাজিব ও ইসতিয়াক মাহমুদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ সময় আমিসহ টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা হিমেলসহ বেশ কয়েকজন পড়ে গিয়ে আহত হই।  

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ বাংলানিউজকে বলেন, হামলার ঘটনাটি শুনেছি। তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ আসেনি।   

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।