ঢাকা: বর্তমান সরকারকে হটাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৬ এপ্রিল) গুলশানের ইমামুয়েল কনভেনশন সেন্টারে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) এক ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একদিকে বাংলাদেশের ভয়াবহ অর্থনৈতিক অবস্থা, আইনশৃঙ্খলা অবস্থা, সর্বব্যাপী দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় অবস্থা আর অন্যদিকে রাজনৈতিক অবস্থা। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব অনেক বেশি, এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। ’
তিনি বলেন, আমাদের ছোট-খাটো ভুল বোঝাবুঝি, ছোট-খাটো বিভেদ সব ভুলে গিয়ে শুধু গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য, মানুষের ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্যে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সেজন্য আমরা সবসময় জাতীয় ঐক্যের কথা বলছি, জাতীয় ঐক্যের ওপরে আমরা অত্যন্ত গুরত্বরোপ করছি। ’ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমাদের মধ্যকার ছোট-খাটো বিরোধ ভুলে গিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য, দেশকে রক্ষা করার জন্য, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই যে জালেম গণতন্ত্রবিরোধী সরকার যারা আমাদের ওপরে চেপে বসে আছে তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা এদেরকে সরে যেতে বাধ্য করি, পদত্যাগে বাধ্য করি এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তার অধিনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের জনগনের পার্লামেন্ট, জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। এটাই আমাদের সামনে লক্ষ্য। ’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব পরিষ্কার করে বলেছেন যে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারপর তাদের অধিনে নির্বাচনের পরে যারা আন্দোলনে অংশ নেবে তাদের সবাইকে নিয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করা হবে। ’
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব এএসএম শামীমের সঞ্চালনায় ইফতারপূর্ব অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, বাংলাদেশ গণ-অধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন বক্তব্য রাখেন।
ইফতারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির একাংশের মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, এলডিপির অন্য অংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এম এ বাশার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, এনডিপির আবু তাহের, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মওলানা মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের নুরুল ইসলাম, কল্যাণ পার্টির আমিনুল ইসলাম পিন্টু, গণদলের গোলাম মাওলা চৌধুরী, আবু সৈয়দ, কৃষক দলের যুগ্ম-সম্পাদক টিএস আইউব, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, জেড খান রিয়াজ উদ্দিন নসু, মহিলা দলের নেত্রী এলিজা জামান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) নওয়াব আলী আব্বাস খান, মাওলানা রুহুল আমীন, মুজিবুর রহমান, সেলিম মাস্টার, গোলাম মোস্তফাসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ইফতারে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২২
এমএইচ/এএটি