ঢাকা: ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন উন্নত চুলা সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এতে জার্মান উন্নয়ন সংস্থাসহ (জিআইজেড) বেশ কয়েকটি দাতা সংস্থা সহায়তা করছে।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) সঙ্গে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ক্লিন কুকস্টোভস’র (জিএসিসি) এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, গ্রামের চিত্র অনেক বদলে যাচ্ছে। অনেকেই এখন গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। এই তো আমার এলাকায় অনেক ছেলে বিদেশ থেকে আসার সময় মায়ের জন্য বৈদ্যুতিক রাইস কুকার নিয়ে আসছেন।
২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। তখন হয়তো আর লাকড়ি ব্যবহৃত চুলার ব্যবহারেই কমে যাবে। ২০৩০ সালে দেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তখন এসব চুলার ব্যবহার থাকার কথা না। সে কারণে লক্ষ্যমাত্রা এগিয়ে আনা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু দুর্গম এলাকা রয়েছে যেখানে হয়তো বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাবে না। সে সব এলাকায় একটি গ্রামকে সৌর বিদ্যুৎ ও উন্নত চুলা ব্যবহারের আদর্শ গ্রাম হিসেবে ঘোষণা করতে পারি কি-না, ভেবে দেখা দরকার।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, গ্রামে এখনও আদি আমলের চুলা ব্যবহৃত হচ্ছে। এ চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় প্রতি বছর ৫০ হাজার নারী-শিশু আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। যে কারণে উন্নত চুলা ব্যবহার করা প্রয়োজন বলে বক্তারা তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। অবশ্যই এ ঝুঁকি থেকে বের করে আসতে হবে। এ জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।
এ ধোঁয়ার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাদের অনেকেই টেলিভিশন কিংবা খবরের কাগজ পড়েন না। তাই তাদের সচেতন করতে বিকল্প কৌশল নির্ধারণের আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।
স্রেডা’র চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব তাপস কুমার রায়ের সভাপতিত্বে এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আহমদ কায়কাউস, জিএসিসি’র আঞ্চলিক পরিচালক অরিজিত বসু।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫