ঢাকা: ডিজেল-পেট্রোল-অকটেন বিক্রির সমীকরণ বলে দিচ্ছে হরতালের প্রভাব এখন সামান্যই। দু’পায়ে হরতাল মাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে জনগণ।
তারা বলেন, টানা হরতাল-অবরোধের কারণে জ্বালানি তেল বিক্রি কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে। হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাবই নেই জন-জীবনে।
জ্বালানি তেল আমদানি ও বিপণনের একমাত্র রেজিস্টার্ড প্রতিষ্ঠান বিপিসির চেয়ারম্যান এএম বদরুদ্দোজা বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ডিজেল ও পেট্রোল বিক্রি বেড়েছে।
তবে অকটেনের বিক্রি সামান্য পরিমাণ কমেছে বলেও জানান তিনি।
এ এম বদরুদ্দোজা জানান, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৫ দিনে (১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি) ৯ হাজার ৪৪৮ টন ডিজেল বিক্রি করেছে বিপিসি। এ বছর টানা হরতাল-অবরোধ সত্ত্বেও একই সময়ে বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৮১২ টন।
‘গত বছরের তুলনায় ৩৬৪টন ডিজেল বেশি বিক্রি হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে বিপিসি পেট্রোল বিক্রি করে ৪৭৬ টন। সেখানে চলতি বছরের একই সময়ে ৬৪৪ টন বিক্রি হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় ১৬৮ টন বেশি।
বিপিসির চেয়ারম্যান বলেন, অন্যান্য জ্বালানির বিক্রি বাড়লেও এবার অকটেন তুলনামূলক কম বিক্রি হয়েছে।
তিনি জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম ১৫ দিনে ৩৪৯টন অকটেন বিক্রি করা হয়। আর চলতি বছরে বিক্রি হয়েছে ২৭৪ টন।
এই হিসাবে গত বছরের তুলনায় ১৭৫ টন কম অকটেন বিক্রি হয়েছে বলে জানান এ এম বদরুদোজ্জা।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, টানা হরতাল-অবরোধের এই সহিংস কর্মসূচির কারণে জ্বালানি তেল বিশেষ করে ডিজেল, পেট্রোল ও অকটেন বিক্রি কমে যাবে। কিন্তু হয়েছে এর উল্টোটা।
চলতি অর্থ-বছরে ৫৬লাখ মেট্রিক টন জ্বালানি চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০১৪ সালে ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার টন জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছে।
এরমধ্যে সবেচেয়ে বেশি হয়েছে ডিজেল ৩২ লাখ ৪২ হাজার টন। এরপরই রয়েছে ফার্নেস অয়েলের ব্যবহার।
বিগত অর্থ-বছরে ১২ লাখ ২ হাজার ৫০৫ টন ফার্নেস অয়েল ব্যবহার হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৫