ঢাকা: আন্তঃদেশীয় বিদ্যুৎ গ্রিড নির্মাণে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরে পিজিসিবি কার্যালয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পালাটানা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব মো. আশরাফ হোসেন ও জিএস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পক্ষে সংস্থাটির প্রকল্প ব্যবস্থাপক জং দায়ে লিম চুক্তিপত্রে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, কুমিল্লা (উত্তর) সাবস্টেশন থেকে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করে পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করবে জিএস ইঞ্জিনিয়ারিং। ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন এ আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইনটি নির্মাণে সময় ধরা হয়েছে ১০ মাস। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি’র নিজস্ব তহবিল থেকে এর অর্থায়ন করা হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পিজিসিবি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম-আলবেরুনী, নির্বাহী পরিচালক (ওঅ্যান্ডএম) তপন কুমার রায়, নির্বাহী পরিচালক (এইচআর) মোহাম্মদ শফিকউল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মোহাম্মদ সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একই প্রকল্পের জন্য গত ০৮ মার্চ কুমিল্লা (দক্ষিণ) সাবস্টেশন থেকে কুমিল্লা (উত্তর) সাবস্টেশন পর্যন্ত ১৯ কি.মি. ১৩২ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন নির্মাণে একটি ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে পিজিসিবি।
ভারত অংশে (পালাটানা পর্যন্ত) সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করবে দেশটি। এ জন্য ভারতকে হুইলিং চার্জ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। চলতি বছরেই এ লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানীর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ভারতের বহরমপুর থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। বর্তমানে প্রায় ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে ভারত। ওই লাইন দিয়ে আরও ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে বলেও জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
নেপাল থেকেও বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটিতে ৮৩ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা থাকায় সেখানে যৌথভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ-নেপাল সরকার।
নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের মাটি ব্যবহারের বিষয়টি ত্রি-পাক্ষিক বৈঠকে চূড়ান্ত করার পক্ষেও মত দিয়েছে ভারত।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সঞ্চালনের করিডোর চেয়েছে। এজন্য সম্ভাব্য রুট ধরা হয়েছে অরুনাচল-রাঙ্গিয়ারাওটা-বড়পুকুরিয়া (বাংলাদেশ)-বোরাকপুর।
বর্তমানে এর প্রাক-সমীক্ষা যাচাইয়ের কাজ চলছে। পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫