ঢাকা: রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ৯১৯ দশমিক ৫০ একর ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)।
ভূমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি নয় হাজার মিটার সীমানা প্রাচীর, অস্থায়ী অনাবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য বিপিডিপি থেকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প
এলাকার দ্বিতীয় ব্লকের ভূমি উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এই প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র আরও জানায়, আগামী ২৩ মার্চ সকালে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (শিল্প ও শক্তি বিভাগ) এসএম গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকল্পের ওপর প্রকল্প মূল্যায়ণ কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র আরও জানায়, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য তিনটি যানবাহন কেনা হবে। অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক ঘাসিয়াখালি চ্যানেল ড্রেজিং করে বালি তুলে প্রকল্প এলাকা ভরাট করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের বিদ্যুৎ উইংয়ের উপ-প্রধান শেখ শরীফ উদ্দিনের স্বাক্ষরিত চিঠিতে দেখা গেছে, প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা সংস্থার বাদ বাকি সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে।
প্রকল্পের ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজালে (ডিপিপি) দেখা গেছে, সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ব্যয় রাখা হয়েছে ২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অপরদিকে মাটি ভরাটের জন্য ব্যয় রাখা হয়েছে ৪৯১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। প্রকল্পের আওতায় তিনটি যানবাহন সংগ্রহ করা হবে।
সুন্দরবনের কাছে রামপালে দুটি ইউনিটে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। ভারত এবং বাংলাদেশ প্রকল্পটিতে ৩০ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ করবে। বাকি ৭০ ভাগ অর্থ ঋণ নেয়া হবে।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানি বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণ করবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বছরে ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টন কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করতে হবে।
২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ সাল নাগাদ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে বিপিডিবি সূত্রে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৫