ঢাকা: বিদেশিরা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে বললেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে অনেক সময় সেটা সম্ভব হয় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
শুক্রবার (২০ মার্চ) বিদ্যুৎ ভবনে বিদ্যুৎ বিভাগের ‘সেক্টর লিডার ওয়ার্কশপ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, দাতা সংস্থার লোকজন বলে, তোমরা বিদ্যুতে ভর্তুকি দিচ্ছো। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সেই টাকা দিয়ে অনেকগুলো হাসপাতাল স্থাপন করতে পারো। তাদের সেই পরামর্শ আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মেলানো যায় না।
তিনি বলেন, দাম বাড়ানোর সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। কাগজে লিখে সমাধান দেওয়া যায় না। প্রধানমন্ত্রী চান না জনগণ দুর্ভোগের শিকার হোক।
বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত কর্মশালাটির বিষয় ছিল ‘সাসটেইনেবল এনার্জি সিকিউরিটি’।
এ প্রসঙ্গে তৌফিক ই-ইলাহী বলেন, নিরাপত্তা শব্দটি আপেক্ষিক বিষয়। পুরোপুরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এখন যাকে নিরাপত্তা বলছি, দশ বছর পর তা বদলে যেতে পারে। সারা দেশে বিদ্যুতের সুবিধাভোগী বলা হচ্ছে ৬৮ শতাংশ। আমার মনে হয় এই হিসাব সঠিক নয়। এখন সুবিধাভোগী ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে লোডশেডিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ মৌসুমে চাহিদা সাড়ে আট হাজার ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। তবে কিছুটা সমস্যা হলে জনগণকে মেনে নেওয়ার অনুরোধ করছি।
সেক্টর লিডারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা রাষ্ট্রের বড় বন্ধু। সবচেয়ে ভালো সেবা দিলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব। ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া কঠিন বিষয় মনে করি না।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিদ্যুতের সঙ্গে জ্বালানি সরাসরি জড়িত। এতে সামঞ্জস্য করা না গেলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। এখানে আরও মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য এসএম গোলাম ফারুক, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও তাপস কুমার রায়।
দু’দিনব্যাপী সেমিনারে অংশ নিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা, অর্থবিভাগ, রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর-পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৫