ঢাকা: রাজশাহী জোনের বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য প্রায় ৯১৫ কোটি ব্যয় করবে সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় রাজশাহী জোনে নতুন করে আরও দুই লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে একনেক সভায় ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, রাজশাহী জোন’ নামে একটি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
শেরেবাংলানগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) এ প্রকল্পটি ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চার ভাগ সিস্টেম লস কমে আসবে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (শিল্প ও শক্তি বিভাগ) এসএম গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি শেষ হলে দুই লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাবে। অপরদিকে ২০২৫ সাল নাগাদ সারা দেশে পর্যায়ক্রমে প্রায় পাঁচ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে।
প্রকল্পের আওতায় ১৩৭৫ কিলোমিটার নতুন লাইন তৈরি করা হবে এবং পুরতান লাইন
সংস্কার করা হবে ১৮০৮ কিলোমিটার।
একনেক বৈঠক শেষে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা রাজশাহী অঞ্চলকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে প্রায় ৯১৫ কোট টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হলো। এর মধ্যে অনেক নড়বড়ে বিদ্যুৎ লাইনও সংস্কার করা হবে।
এর ফলে এসব এলাকাগুলোতে আবাসিক ও শিল্প কলকারখানায় নতুন করে বিদ্যুৎ দেওয়া যাবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্ভরতা ও নিশ্চয়তা বাড়বে এবং সিস্টেম লস কমে আসবে।
প্রকল্পের সারসংক্ষেপে দেখা গেছে, রাজশাহী জোনের রাজশাহী সদর, রাজশাহী সিটি করপোরেশন, গোমস্তাপুর, গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।
অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলা, নাটোরের সদর উপজেলা, পাবনার সদর ও ইশ্বরদী উপজেলা, সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা, বগুড়ার সদর, শেরপুর, সান্তাহার, দুপচাঁচিয়া ও শিবগঞ্জ উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ৩০ কিলোমিটার ৩৩ কেভি, ১১ কেভি ও ০.৪ কেভি সমন্বিত লাইন নির্মাণ। ৩৩ কেভি নতুন বিদ্যুৎ লাইন ২২১ কিলোমিটার, ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার ২১৮ কিলোমিটার, ১১ কেভি নতুন বিদ্যুৎ লাইন ৩৪১ কিলোমিটার ও ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার ৩৭৫ কিলোমিটার।
বিভিন্ন ক্ষমতার নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং বিদ্যমান উপকেন্দ্রগুলোর সংস্কার ও মানোন্নয়ন, বিভিন্ন ক্ষমতার নতুন বিতরণ ট্রান্সফরমার সংগ্রহ এবং পুরাতন ট্রান্সফরমার সংস্কার করা হবে। সেই লক্ষে ৯৫২টি ট্রান্সফরমার সংগ্রহ করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতার পুরাতন বিতরণ ট্রান্সফার সংস্কার করা হবে ৬৩৮টি।
একনেক সভায় নর্থওয়েস্ট পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিকে কাযর্ক্রমের আওতায় আনতে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫