নীলফামারী: বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত হচ্ছে সদ্য বিলুপ্ত নীলফামারীর চার ছিটমহল। দ্রুত গতিতে চলছে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্র জানায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকদিনের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নীলফামারী জেনারেল ম্যানেজারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিলুপ্ত ছিটমহল বড় খানকি, খানকি খারিজা গিতালদহ, খারিজা গিতালদহ ও নগর জিগাবাড়িতে ৫.০৫৩ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন প্রয়োজন। এর মধ্যে বড় খানকিতে প্রয়োজন ০.৮৫, খানকি খারিজা গিতালদহে ১.০৫৩, খারিজা গিতালদহে ১.৪১৩ ও নগর জিগাবাড়িতে ১.৭৩৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন প্রয়োজন।
এ চার এলাকার ২০৭ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। এদের মধ্যে ১৯৫ জন আবাসিক, পাঁচজন সেচ ও দু’জন শিল্প গ্রাহক রয়েছেন।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন জানান, তার ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। শিগগিরই বিদ্যুৎ পাবে সদ্য বাংলাদেশের নাগরিক হওয়া নগর জিগাবাড়িবাসী।
বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক খারিজা গিতালদহের মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনেক। বিদ্যুৎ সংযোগের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া পেতে যাচ্ছি আমরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নীলফামারীর মহাব্যবস্থাপক মো. এনামুল হক প্রামাণিক জানান, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশের নতুন এ চারটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।
চলতি মাসের শেষ দিকে অথবা আগামী মাসের প্রথমে নতুন নাগরিকদের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি ও গয়াবাড়ি ইউনিয়ন সংলগ্ন চারটি বিলুপ্ত ছিটমহলে ১১৯টি পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫৪৫।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
এসআই/